যেকারনে সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এমন ষড়যন্ত্র

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর পৃথিবীর প্রায় সব রাষ্ট্রই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু উল্টো পথেই হাঁটছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখনো পর্যন্ত দেশটি আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন জানায়নি, এমনকি বিএনপি এবং ঐক্যজোটের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থ রাষ্টদূত রবার্ট মিলার নিয়মিত বৈঠক করছেন বিএনপি ও ঐক্যজোটের নেতাদের সাথে। এ নিয়ে দেশটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেখানে উগ্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের ইসু্যতে দেশটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছে।

পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য ও মায়ানমারে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের দিকে নজর দিয়েছে। দেশটি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যজোটকে ক্ষমতায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা ও তদবির করেছিল। কিন্তু দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে ব্যালট বিপ্লবে আবারো ক্ষমতা এনেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপির তিন নেতার সঙ্গে শুক্রবার দুপুরে বৈঠক করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। গুলশানে বিএনপি নেতা তাবিথ আওয়ালের বাসায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছেন মির্জা ফখরুল। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো আলাপ করতেও রাজি হননি তিনি।

বাংলাদেশের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন ষড়যন্ত্রমূলক এবং বিমাতাসুলভ আচরণের কি কারণ রয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।–ভোরেরপাতা